
গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে ১০ হাজার মানুষ


জনতা ডেস্ক
প্রায় সাত মাস ধরে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে উপত্যকাটির শত শত ভবন ধসে পড়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। এক বিবৃতিতে এমন তথ্যই জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, আমরা ধারণা করছি ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হওয়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে ১০ হাজারের বেশি মানুষ চাপা পড়ে আছে। এজেন্সিটি আরও জানিয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে। এই ১০ হাজার নিখোঁজ মানুষ তাদের মধ্যে নেই। তাদেরকে যুক্ত করলে এ সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘরবাড়ি ও স্থাপনার ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার মরদেহ পচে রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এসব মরদেহ দ্রুত পচতে শুরু করেছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডের ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৪ বছর লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) সিনিয়র কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার জানান, যুদ্ধের কারণে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে।
হংকংয়ে টানা ১০ হাজার বজ্রপাতের আঘাত
জনতা ডেস্ক
হংকংয়ে রাতারাতি প্রায় ১০ হাজার বজ্রপাত আঘাত হেনেছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এসব বজ্রপাত আঘাত হানে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। বার্তা সংস্থা এএফপি’র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৯টা থেকে শুরু করে এক ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৯১৪টি বজ্রপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া, বুধবার সকাল ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৩৭টি বজ্রপাত রেকর্ড করা হয়। এই বজ্রপাতের বেশিরভাগই হংকংয়ের নিউ টেরিটরি পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।
এদিকে, বজ্রপাতের কারণে হংকংয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটও বিলম্ব হয়। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বজ্র ঝড়ে বাঁশের তৈরি একটি ক্যান্টোনিজ অপেরা থিয়েটারে বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অঞ্চলে এপ্রিল মাসে উচ্চ আর্দ্রতা থাকে, যা বর্ষা মৌসুম পর্যন্ত অগ্রসর হয়। তাই আকস্মিক বৃষ্টিপাতের জন্য প্রস্তুত থাকেন বাসিন্দারা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ